ঢাকা ০১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে মদন উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সায়েম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ মদনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে হত্যার চেষ্টা মদনের এ.ইউ.খান উচ্চ বিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ মদনে এক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি শূন্য মদনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সূজন বাজারের সূজন মদনে হিট স্ট্রোকে দুইজনের মৃত্যু ভারী বর্ষণে মহাসড়কে ধস, চীনে ২৪ প্রাণহানি

লাইকি-বিগো লাইভে পাচার শত কোটি টাকা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৫:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১
  • ৩৩২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লাইকি’ ও ‘বিগো লাইভ’ অ্যাপে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে বছরে শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি জানায়, এই অ্যাপে প্রধানত টার্গেট করা হয় দেশের যুবসমাজ ও প্রবাসীদের।

দেশে এসব অ্যাপস পরিচালনাকারী এক বিদেশি নাগরিকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গ্রেফতাররা হলেন- মোস্তাফা সাইফ রেজা (২৬), মো. আরিফ হোসেন (২৭), এসএম নাজমুল হক (২৭), আসমা উল হুসনা সেজুতী (২৮) ও অজ্ঞাতপরিচয় একজন বিদেশি নাগরিক।

রোববার (১৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান সিআইডি সাইবার পুলিশের ডিআইজি জামিল আহমেদ।

গ্রেফতার বিদেশি নাগরিক বিগো লাইভ ও লাইকির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বাংলাদেশি নাগরিক মোস্তফা সাইফ রেজা বিগোর বাংলাদেশি অ্যাডমিন। মো. আরিফ হোসেন বাংলাদেশে মেয়েদের মাসিক বেতনে চাকরি দিয়ে বিগো লাইভের সঙ্গে যুক্ত করতেন। এসএম নাজমুল হক ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা-ডায়মন্ড বিক্রির অন্যতম প্রধান বাংলাদেশি এজেন্ট এবং আসমা উল হুসনা সেজুতী বিগো লাইভের প্রধান অ্যাডমিন।

ডিআইজি জামিল আহমেদ বলেন, এসব অ্যাপসে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে যুক্ত হতে ডিজিটাল কয়েন ডায়মন্ড ব্যবহার করা হয়। ডায়মন্ড বিক্রির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করছে এমন অভিযোগে তদন্তের সূত্র ধরে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।

এসব লাইভে সাধারণত দেশের উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। এই ভিডিও লাইভে কথিত বিনোদনের আড়ালে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেওয়া হতো। যিনি যত বেশি ডায়মন্ড ব্যবহার করতে পারেন, তিনি তত বেশি সময় ভিডিওতে অশ্লীলতা করতে পারতেন।

আর এসব ডায়মন্ড সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন এজেন্সি। এসব এজেন্সির প্রত্যেকের একাধিক পেমেন্ট গেটওয়ে রয়েছে। সাধারণত ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব এজেন্সির বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। সাধারণ ব্যবহারকারীরা এজেন্সির পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ দিয়ে ডায়মন্ড কেনেন।

বাংলাদেশি এজেন্সিগুলো ডায়মন্ড কিনে আনে বিদেশি অ্যাডমিনদের কাছ থেকে। যার ফলে বিভিন্ন অবৈধ মাধ্যমে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার হয়ে যাচ্ছে। গ্রেফতারদের বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে গত এক বছরে প্রায় শত কোটি টাকারও বেশি লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, লাইকি ও বিগো লাইভ অ্যাপস বিদেশ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমরা নিয়ন্ত্রণকারীদের এসব বিষয়ে নজরে আনবো। এছাড়াও আমরা এসব অ্যাপস সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি। যারা অশ্লীল ভিডিও দিচ্ছেন, তাদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

লাইকি-বিগো লাইভে পাচার শত কোটি টাকা

আপডেট টাইম : ০৬:১৫:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লাইকি’ ও ‘বিগো লাইভ’ অ্যাপে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে বছরে শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি জানায়, এই অ্যাপে প্রধানত টার্গেট করা হয় দেশের যুবসমাজ ও প্রবাসীদের।

দেশে এসব অ্যাপস পরিচালনাকারী এক বিদেশি নাগরিকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গ্রেফতাররা হলেন- মোস্তাফা সাইফ রেজা (২৬), মো. আরিফ হোসেন (২৭), এসএম নাজমুল হক (২৭), আসমা উল হুসনা সেজুতী (২৮) ও অজ্ঞাতপরিচয় একজন বিদেশি নাগরিক।

রোববার (১৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান সিআইডি সাইবার পুলিশের ডিআইজি জামিল আহমেদ।

গ্রেফতার বিদেশি নাগরিক বিগো লাইভ ও লাইকির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বাংলাদেশি নাগরিক মোস্তফা সাইফ রেজা বিগোর বাংলাদেশি অ্যাডমিন। মো. আরিফ হোসেন বাংলাদেশে মেয়েদের মাসিক বেতনে চাকরি দিয়ে বিগো লাইভের সঙ্গে যুক্ত করতেন। এসএম নাজমুল হক ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা-ডায়মন্ড বিক্রির অন্যতম প্রধান বাংলাদেশি এজেন্ট এবং আসমা উল হুসনা সেজুতী বিগো লাইভের প্রধান অ্যাডমিন।

ডিআইজি জামিল আহমেদ বলেন, এসব অ্যাপসে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে যুক্ত হতে ডিজিটাল কয়েন ডায়মন্ড ব্যবহার করা হয়। ডায়মন্ড বিক্রির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করছে এমন অভিযোগে তদন্তের সূত্র ধরে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।

এসব লাইভে সাধারণত দেশের উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। এই ভিডিও লাইভে কথিত বিনোদনের আড়ালে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেওয়া হতো। যিনি যত বেশি ডায়মন্ড ব্যবহার করতে পারেন, তিনি তত বেশি সময় ভিডিওতে অশ্লীলতা করতে পারতেন।

আর এসব ডায়মন্ড সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন এজেন্সি। এসব এজেন্সির প্রত্যেকের একাধিক পেমেন্ট গেটওয়ে রয়েছে। সাধারণত ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব এজেন্সির বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। সাধারণ ব্যবহারকারীরা এজেন্সির পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ দিয়ে ডায়মন্ড কেনেন।

বাংলাদেশি এজেন্সিগুলো ডায়মন্ড কিনে আনে বিদেশি অ্যাডমিনদের কাছ থেকে। যার ফলে বিভিন্ন অবৈধ মাধ্যমে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার হয়ে যাচ্ছে। গ্রেফতারদের বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে গত এক বছরে প্রায় শত কোটি টাকারও বেশি লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, লাইকি ও বিগো লাইভ অ্যাপস বিদেশ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমরা নিয়ন্ত্রণকারীদের এসব বিষয়ে নজরে আনবো। এছাড়াও আমরা এসব অ্যাপস সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি। যারা অশ্লীল ভিডিও দিচ্ছেন, তাদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে।